শিশুদের গান
প্রেমের গান
বিরহের গান
জীবনমুখী গান
বাউল
লালন
রবীন্দ্র
গণ সংগীত
দেশের গান
শিশুদের গান
আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
একদিন ছুটি হবে
একদিন ছুটি হবে
একদিন ছুটি হবে, অনেক দূরে যাব
নীল আকাশে সবুজ ঘাসে খুশিতে হারাব।
যেখানে থাকবেনা কোন বাধন,থাকবেনা নিয়মের কোন শাসন,
পাখি হয়ে উড়ব, ফুল হয়ে ফুটব,
পাতায় পাতায় শিশির হয়ে হাসি ছড়াব।
অজানা পথে অচিন দেশে, ঝর্ণধারা হয়ে যাব ভেসে
তারা হয়ে উঠব, মেঘ হয়ে ভাসব
লুকোচুরি খেলার ছলে লুকিয়ে রব।
আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুলপরি
ফুলপরি লালপরি লালপরি নীলপরি সবার সাথে ভাব করি, সবার সাথে ভাব করি
এখানে মিথ্যে কথা কেউ বলে না এখানে অসৎ পথে কেউ চলেনা
পড়ার সময় লেখাপড়া, কাজের সময় কাজ করা,
খেলার সময় মোরা খেলা করি, খেলা করি
এখানে মন্দ হতে কেউ পারে না, এখানে নিন্দা কভু কেউ করে না
নেই কোন দুঃখ অপমান, ছোট বড় সবাই সমান
ভালবাসা দিয়ে জীবন গড়ি, জীবন গড়ি
প্রেমের গান
তোমারে লেগেছে এত যে ভাল
তুমি যে আমার কবিতা
দুটি মন আর নেই দুজনার
এই রাত তোমার আমার
সাতটি তারার এই তিমির
এই রূপালি চাঁদে তোমারই হাত দুটি
তোমারে লেগেছে এত যে ভাল
তোমারে লেগেছে এত যে ভাল, চাঁদ বুঝি তা জানে
রাতের বাসরে দোসর হয়ে, তাই সে আমারে টানে।।
রাতের আকাশে তারার মিতালি, আমারে দিয়েছে সুরের গীতালি
কত যে আশায় তোমারই নামে, জ্বালিয়ে আমি রেখেছি দীপালি
আকুল ভোমরা বলে সে কথা বকুলের কানে কানে।।
এত যে কাছে চেয়েছি তোমারে, এত যে প্রীতি দিয়েছ আমারে
এত যে পাওয়া কেমনে সহিব, একাকী আমি নিরব আঁধারে
আকুল পাপিয়া ছড়ায় সে কথা, বাতাসের কানে কানে।।
তুমি যে আমার কবিতা
তুমি যে আমার কবিতা, আমার গানের রাগিনী
দুটি মন আর নেই দুজনার
দুটি মন আর নেই দুজনার রাত বলে আমি সাথী হব যে
ফাগুনের রাতে আমি রূপকথা হয়ে কাছে রব যে।।
ফুল বলে রঙে আর ছেও না, পাখি বলে আর গান গেও না
আমাদের মিতালীর মায়াতে কানে কানে কত কথা কব যে
শুকতারা বলে আমি আছি তাই দিশাহারা হতে আর ভয় কি?
পাছে ঘুম ঝরে পড়ে দুচোখে, হাসি মুখে তাই জেগে রব যে
এই রাত তোমার আমার
এই রাত তোমার আমার,ঐ চাঁদ তোমার আমার, শুধু দুজনে
এই রাত শুধু যে গানের, এই ক্ষণ এদুটি প্রাণের, কুহু কুজনে
তুমি আছে আমি আছি তাই অনুভবে তোমারে যে পাই
শুধু দুজনে ---
সাতটি তারা এই তিমির
সাতটি তারার এই তিমির, একটি প্রেমের শান্ত নীড়
আজ আকাশে নেই ভাবনা, চন্দ্রকলায় ছন্দমীঢ়।।
দিয়েছ এনে একটি কলি ভাবনা জাগে কি যে বলি
বলতে গিয়ে তোমায় দেখে লাগে মনে ভয়
জানি কি যে হল, কেন এমন হয়।।
বোঝনা কেন এ নিরবতা এই তো আমার সকল কথা
তুমি তো জান আমার সবই, তোমার মত নইত কবি
তোমার মত বলা তো আর সহজ কথা নয়
নিরবে নিলাম জেনে তোমার পরিচয়।।
এই রূপালি চাঁদে তোমারই হাত দুটি
এই রূপালি চাঁদে তোমারই হাত দুটি মেহেদি লাল রঙে আমি সাজিয়ে দিতে চাই
আহা কি শোনালে মন রাঙালে, এভাবে সারা জীবন যেন তোমাকে কাছে পাই
শধু একটি গোলাপ চেয়ে পাঠালে চিঠি শুনে মনের আকাশে ভাসে তারা মিটিমিটি
তুমি কাছে এসে এ হৃদয় রাঙালে যদি তাতে আমারই নাম লিখে যাই
আমি তোমাকে পেয়ে সুখে আছি যেন ফুলের বুকে অলি কত কাছাকাছি
এই মেহেদি রাতে সাথে আছ তুমি যেন তুমি বিনে কিছু নাই, তোমাকে কাছে পাই
বিরহের গান
জীবনমুখী গান
বাউল গান
লালন গীতি
রবীন্দ্র সংগীত
গণ সংগীত
বিস্তীর্ণ দুপারের
প্রতিধ্বনি শুনি
বিস্তীর্ণ দুপারের
বিস্তীর্ণ দুপারের অসংক্ষ্য মানুষের হাহাকার শুনেও নিঃশব্দে নিরবে ও গঙ্গা তুমি বইছ কেন?
নৈতিকতার স্খলন দেখেও মানাবতার পতন দেখেও নির্লজ্জ অলস ভাবে বইছ কেন?
জ্ঞান বিহীন নিরব ঘরের খাদ্য বিহীন নাগরিকের
সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়েও লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তোলনা কেন?
ব্যক্তি যদি ব্যক্তি কেন্দ্রিক, সমষ্টি যদি ব্যক্তিত্বরোহী তবে শিথিল সমাজকে ভাঙ না কেন?
সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়েও লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তোলনা কেন?
স্রোতস্বিনী কেন নাহি বও, তুমি নিশ্চই জাহ্ণবী নও
তাহলে প্রেরণ দাও না কেন?
উন্মত্ত ধরার কুরুক্ষেত্রের শর শয্যাকে আলিঙ্গন করা লক্স কোটি ভারত বাসিকে জাগালে না কেন?
প্রতিধ্বনি শুনি: ভুপেন হাজারিকা
মোর গায়ের সীমানার পাহাড়ের ওপারে নিশিথ রাত্রির প্রতিধ্বনি শুনি
কান পেতে শুনি আমি বুঝিতে না পারি, চোখ মেলে দেখি আমি দেখিতে না পারি
চোখ বুজে ভাবি আমি ধরিতে না পারি, হাজার পাহাড় আমি ডিঙুতে না পারি
হতে পারে কোন যুবতীর শোক ভরা কথা, হতে পারে কোন ঠাকুমার রাতের রূপকথা
হতে পারে কোন কৃষকের বুক ভরা ব্যাথা, চেনা চেনা সুরটিকে কিছুতে না চিনি।
শেষ হল কোন যুবতীর শোক ভরা কথা, শেষ হল কোন ঠাকুমার রাতের রূপকথা
শেষ হল কোন কৃষকের বুক ভরা ব্যাথা, চেনা চেনা সুরটিকে কিছুতে না চিনি।
মোর কাল চুলে সকালের সোনালী রোদ পড়ে, চোখের পাতায় লেগেথাকা কুয়াশা যায় সরে
জেগে ওঠা মানুষের হাজার চিতকারে, আকাশ ছোঁয়া অনেক বাঁধার পাহাড় ভেঙে পড়ে
মানব সাগরের কোলাহল শুনি, নতুন দিনের যেন পদধ্বনি শুনি।